আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, এককালে আমরা যা দেখতে পাইনি, বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন তা দেখতে পাচ্ছি, উপলব্ধি করতে পারছি। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞানের ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বিজ্ঞানের অজস্র আবিষ্কার মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হলেও বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কার মানুষের জন্য ক্ষতিকারকও। যেমন, আণবিক বোমা পৃথিবীর জন্য, মানবজাতির জন্য কখনো কল্যাণকর নয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১.৩০টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব টুটন চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, মাননীয় ট্রেজারার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, আইইবি-চট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম.এ. রশিদ, ড. আনোয়ারুল আবেদিন ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন আরও বলেন, অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশে^র ৩৩ শতাংশ পণ্য চীন এবং ২৫ শতাংশ পণ্য এই ভারতীয় উপমহাদেশ উৎপাদন করত। কিন্তু ৬০/৭০ বছর পরে এই চিত্র পাল্টে যায়। বিশে^ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই উপমহাদেশ ১ শতাংশে এবং চীন ৩ শতাংশে নেমে আসে। ইউরোপসহ বিশে^র অন্যান্য দেশ পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে যায়। কারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তারা এই উপমহাদেশ ও চীনের চেয়ে তখন অনেক বেশি এগিয়ে গেছিল।
ড. সেন উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিজ্ঞান ও টেকনোলজির জ্ঞান ছিল বলে তারা এই উপমহাদেশ প্রায় ২০০ বছর শাসন করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ জনতার সামনে উদাত্ত কণ্ঠে যে-ভাষণ দেন, তা পৃথিবীর মধ্যে স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ ভাষণ। আমাদের এই দেশ শত শত বছর অনেক শাসক শাসন করলেও, তাদের অনেকে শাসক হিসেবে স্বাধীন হলেও বাংলার মানুষ কখনো স্বাধীন ছিল না। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে বঙ্গবন্ধু বাঙালির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি বাঙালির অধিকারের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ০৭ মার্চের ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেন, একটি দেশ দেন, একটি সংবিধান দেন।
ড. সেন বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের
অ্যাক্রেডিটেশন অর্জনকে গৌরবের বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে এই বিভাগের পাশ করা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন আইইবির সদস্য পদ লাভ করতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, আমরা এমন একটি উপলক্ষ্যে উপস্থিত হয়েছি, যেটি তারুণ্য, মেধা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বিত প্রকাশ। তিনি বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের এতো মেধাবী তরুণের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ ঘটতো না।
মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোকে পুনর্ব্যবহার করে সাশ্রয়ী ইনোভেটিভ প্রজেক্ট তৈরি করা দরকার। তিনি স্কুল পর্যায়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের ইনোভেটিভ প্রজেক্টের প্রশংসা করেন।
আইইবি-চট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম.এ. রশিদ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগ বায়েট থেকে যে-অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে, তা বজায় রাখার তাগিদ দেন।
প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন বলেন, আমাদের দেশের, আমাদের পারিপাশির্^ক অবস্থার উন্নয়নের জন্য আমাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। ইনোভেশন যেন ইনভেনশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইনোভেশন হলো আবিষ্কৃত জিনিসের আরও উন্নয়ন। আর ইনভেনশন হলো নতুন আবিষ্কার।
বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব টুটন চন্দ্র মল্লিক বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের ৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ৫০টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজ থেকে ৩৩টি দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বর্ণাঢ্য ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম
Read Moreসমাজতত্ত্ব এবং টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ওরিন্টেশন প্রোগ্রাম
Read Moreতড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাবর আলীর এভারেস্ট জয়ের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি গণিত বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী
Read Moreপ্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির গণিত বিভাগে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস ২০২৪ উদযাপন
Read MoreTuesday, 12 March, 2024
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেছেন, এককালে আমরা যা দেখতে পাইনি, বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন তা দেখতে পাচ্ছি, উপলব্ধি করতে পারছি। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞানের ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বিজ্ঞানের অজস্র আবিষ্কার মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হলেও বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কার মানুষের জন্য ক্ষতিকারকও। যেমন, আণবিক বোমা পৃথিবীর জন্য, মানবজাতির জন্য কখনো কল্যাণকর নয়।
০৭ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১.৩০টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব টুটন চন্দ্র মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, মাননীয় ট্রেজারার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ, আইইবি-চট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম.এ. রশিদ, ড. আনোয়ারুল আবেদিন ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন আরও বলেন, অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশে^র ৩৩ শতাংশ পণ্য চীন এবং ২৫ শতাংশ পণ্য এই ভারতীয় উপমহাদেশ উৎপাদন করত। কিন্তু ৬০/৭০ বছর পরে এই চিত্র পাল্টে যায়। বিশে^ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই উপমহাদেশ ১ শতাংশে এবং চীন ৩ শতাংশে নেমে আসে। ইউরোপসহ বিশে^র অন্যান্য দেশ পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে যায়। কারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে, চিন্তার ক্ষেত্রে ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তারা এই উপমহাদেশ ও চীনের চেয়ে তখন অনেক বেশি এগিয়ে গেছিল।
ড. সেন উল্লেখ করেন, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিজ্ঞান ও টেকনোলজির জ্ঞান ছিল বলে তারা এই উপমহাদেশ প্রায় ২০০ বছর শাসন করতে সক্ষম হয়েছিল। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ জনতার সামনে উদাত্ত কণ্ঠে যে-ভাষণ দেন, তা পৃথিবীর মধ্যে স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ ভাষণ। আমাদের এই দেশ শত শত বছর অনেক শাসক শাসন করলেও, তাদের অনেকে শাসক হিসেবে স্বাধীন হলেও বাংলার মানুষ কখনো স্বাধীন ছিল না। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে বঙ্গবন্ধু বাঙালির ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি বাঙালির অধিকারের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ০৭ মার্চের ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, এবারে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দেন, একটি দেশ দেন, একটি সংবিধান দেন।
ড. সেন বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের
অ্যাক্রেডিটেশন অর্জনকে গৌরবের বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে এই বিভাগের পাশ করা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন আইইবির সদস্য পদ লাভ করতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, আমরা এমন একটি উপলক্ষ্যে উপস্থিত হয়েছি, যেটি তারুণ্য, মেধা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সমন্বিত প্রকাশ। তিনি বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন উল্লেখ করে বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের এতো মেধাবী তরুণের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর সুযোগ ঘটতো না।
মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ বলেন, আমাদের চারপাশের জিনিসগুলোকে পুনর্ব্যবহার করে সাশ্রয়ী ইনোভেটিভ প্রজেক্ট তৈরি করা দরকার। তিনি স্কুল পর্যায়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের ইনোভেটিভ প্রজেক্টের প্রশংসা করেন।
আইইবি-চট্টগ্রাম সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এম.এ. রশিদ প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগ বায়েট থেকে যে-অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে, তা বজায় রাখার তাগিদ দেন।
প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন বলেন, আমাদের দেশের, আমাদের পারিপাশির্^ক অবস্থার উন্নয়নের জন্য আমাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। ইনোভেশন যেন ইনভেনশন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইনোভেশন হলো আবিষ্কৃত জিনিসের আরও উন্নয়ন। আর ইনভেনশন হলো নতুন আবিষ্কার।
বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব টুটন চন্দ্র মল্লিক বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন ফেয়ারের ৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ৫০টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজ থেকে ৩৩টি দলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।